বাংলাদেশের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য
সূচনাঃ
বাংলাদেশ প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর। যাঁরা বিশ্ব প্রকৃতির অনন্ত
বিচিত্রির মধ্যে নিজেকে খুঁজে পেতে চায়, তাঁদের পক্ষে এদেশের নির্মল আকাশ,
নদী-কান্তার, পুষ্প-পল্লব, বটকৃক্ষ ছায়া এবং সুশীতল পল্লী বীথিকায় আছে এক
অপূর্ব আবেদন।
ভূমির
সৌন্দর্যঃ বাংলাদেশের আয়তন প্রায় ১৪৪ বর্গ কিলোমিটার। এর সমগ্র ভূমিই
প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর। বিরাট এলাকা জুড়ে রয়েছে এর সমতল ভূমি, যা
দেখেতে খুবই সুন্দর। অন্যদিকে সিলেট, কুমিল্লা, চট্রগ্রাম ও পার্বত্য
চট্রগ্রামে রয়েছে উঁচু উঁচু পাহাড়। এছাড়াও এখানে আছে ঘন বন। যার মধ্যে
খুলনা সন্দর বন বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। বিশ্ববিখ্যাত রয়েল বেঙ্গল টাইগার এ
সুন্দর বনেই বাস করে। কক্সবাজারের সমুদ্র সৈকতের দৃশ্যাবলী শুধুমাত্র
এদেশের মানুষের জন্যেই নয়: বরং সমগ্র বিশ্বের পর্যটকদের জন্য আকর্ষনীয়।
নদন-নদীর
সৌন্দর্যঃ বাংলাদেশ একটি নদীর দেশ। পদ্মা, মেঘনা এবং যমুনা বাংলাদেশরে বড়
নদী। সমতল ভূমির উপর দিয়ে প্রবাহিত নদীর পানি মাটিকে গাছপালা বৃদ্ধির জন্য
উর্বর করে তোলে। এ নদীগুলোর অবদানের ফলেই বাংলাদেশকে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের
বাগান বলে অভিহিত করা যায়।
বিভিন্ন
ঋতুর সৌন্দর্যঃ বাংলাদেশে বার মাস ধরেই চলে ষড় ঋতুর বৈচিত্রাবলী।
গ্রীষ্মকাল সূর্য উত্তপ্ত হয়ে উঠে এবং মাটিতে আনে তীব্র আঘাত। সূর্যের এই
দগ্ধ তাপে মানুষ হয়ে উঠে ক্লান্ত । কিন্তু গ্রীষ্মকালীন আম, কাঁঠাল এবং
লিচু অবসন্নত দূর করে দেয়। এর পরই আকাশ হয়ে উঠে মেঘাচ্ছন্ন। আর প্রবল
বৃষ্টিতে প্রকৃতি ঠান্ডা হয়ে হয়ে যায়। বর্ষাকালের বিদায়লগ্নেই অগমন হয়
শরতের। হেমন্ত হচ্ছে শরতের অগ্রদূত। এ ঋতু আমাদের দেশের কৃষকদের জন্য খুবই
আনন্দের কারণ তখন তারা ধান কেটে বাড়ি নেওয়ার জন্য ব্যস্ত থাকে। কনকনে
ঠান্ডা নিয়ে আসে শীতকাল। প্রকৃতিকে নির্জীব এবং নিরলস দেখা যায়। শীতের পর
পরেই আসে ঋতুরাজ বসন্ত। গাছে গাছে ফুল ফোটে, আর আমাদের দেয় মিষ্টি গন্ধ।
উপসংহারঃ
বাংলাদেশের বুকে সারা বছরই সীমাহীন প্রাকৃতিক সৌন্দর্য বিরাজ করে। মানুষের
মন ও চরিত্রের উপর বিশেষ প্রভাব বিস্তার করছে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের এ
সম্পদ। |